নাম: আমরা হাদীস মানতে বাধ্য
লেখক: আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক
.
বইয়ের সংক্ষিপ্ত পরিচয়
লেখকের ওয়াল থেকে--
বইটি মূলত মুনকিরীনে হাদীছগণের
বিভিন্ন অভিযোগ ও চোরাগলির
জবাবে লেখা। যেমন :
হাদীছ সংকলন সংক্রান্ত:-
*কুরআন যেভাবে লেখা হয়েছে, হাদীছ
কেন সেভাবে লিখিত আকারে সংরক্ষণ
করা হল না?
*রাসূল (ছাঃ) হাদীছ লিখতে নিষেধ
করেছেন। হাদীছ যদি শরী‘আতের
দলীল হত, তাহলে রাসূল (ছঃ) তা
লিখতে নিষেধ করতেন না; বরং লেখার
জন্য উৎসাহিত করতেন। সুতরাং হাদীছ
দলীল যোগ্য নয়।
*খোলাফায়ে রাশেদীন কেন হাদীছ
জমা করলেন না?
*এত দিন পর জমা হওয়া হাদীছ
কিভাবে রাসূল (ছাঃ)-এর হাদীছ হতে
পারে?
মুহাদ্দিছগণের তাহক্বীক সংক্রান্ত:-
*মুহাদ্দিছগণ শুধু সনদ তাহক্বীক্ব করেন,
‘মতন বা মূল টেক্সট নয়।
* তাদের যাবতীয় মূলনীতির ভিত্তি
রাবীর ন্যায়পরায়ণতা ও স্মৃতিশক্তির
উপর, অথচ একজন মিথ্যুকও সত্য বলে এবং
মযবূত্ব স্মৃতিশক্তির অধিকারী মানুষও
ভুল করে। সুতরাং তাদের তাহক্বীক্ব
বিশ্বাসযোগ্য নয়।
* তারা ডাক্তারের কম্পাউন্ডারের
মত। কোন ঔষধ কোথায় আছে, তা বলতে
পারবেন, কিন্তু কোন ঔষুধ কোন অসুখের
জন্য, তা বলতে পারবেন না। তাদের
কাছে ঔষধের ভাণ্ডার আছে, কিন্তু
প্রেসক্রিপশন লেখার মত যোগ্যতা
নেই।
প্রাচ্যবিদগণের অভিযোগ সমূহ:-
* আবু হুরাইরা (রাঃ) মিথ্যুক । তিনি
অর্থ আত্মসাৎ করেছিলেন। তিনি
খাদ্যের লোভি ছিলেন।
নাউজুবিল্লাহ। তার কোন বংশ পরিচয়
নাই... ইত্যাদী ।
* ছাহাবীগণের মধ্যে অনেকেই
মুনাফিক্ব ছিলেন। তারা যে রাসূল
(ছাঃ)-এর নামে মিথ্যা হাদীছ
বানিয়ে চালিয়ে দেননি তার কি
নিশ্চয়তা আছে?
* কা‘ব আল-আহবার ইয়াহূদী থেকে
নামে মাত্র মুসলিম হয়েছিল এবং
ইসরাঈলী রিওয়ায়েতকে রাসূল (ছাঃ)-
এর হাদীছ বলে চালিয়ে দিত।
ছাহবায়ে কেরাম সেগুলো গ্রহণ
করতেন। (না‘ঊযুবিল্লাহ)
* ইবনু শিহাব যুহরী উমাইয়া
খলীফাদের নির্দেশে অনেক হাদীছ
তৈরী করেছে। (না‘ঊযুবিল্লাহ)।
* * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * *
* * *
# এই অভিযোগ গুলোর অন্তরে
প্রশান্তিদায়ক জবাব পেতে বইটি
পড়তে পারেন।ইনশাআল্লাহ আমার
জানামতে মুনকিরীনে হাদীছের
অভিযোগের জবাবমূলক বাংলা ভাষায়
প্রথম গ্রন্থ হবে। প্রতিটি অভিযোগের
পয়েন্ট বাই পয়েন্ট জবাব দেয়ার চেষ্টা
করেছি। সাথে থাকছে আরো কিছু
চোরাগলির জবাব যেগুলোর মাধ্যমে
হাদীছ সরসরি অস্বীকার করা না হলেও
হাদীছকে অচল করে দেয়ার চেষ্টা করা
হয়। যেমন-
*খবারে আহাদ হাদীছের উপর সন্দেহের
অভিযোগ খণ্ডন।
*হাদীছ ও সুন্নাতের মধ্যে পার্থক্য।
*মূলনীতির বেড়াজালে হাদীছে
রাসূল।
*তা‘বীল বা দূরবর্তী ব্যাখ্যার
বেড়াজালে হাদীছে রাসূল।
*বিজ্ঞান ও হাদীছে রাসূল ।
এবং সবশেষে থাকছে ‘হাদীছ মানতেই
হবে’ নামে একটি সমাপনী অধ্যায়
যেখানে ইসলামী শরীয়তে হাদীছের
অবস্থান বর্ণনা করা হয়েছে।
ছাহাবায়ে কেরাম, সালাফে
ছালেহীন কিভাবে হাদীছ মানতেন
তা দলীল সহ পেশ করা হয়েছে।
ইনশাআল্লাহ আশা করি বইটির
মাধ্যমে ইলমে হাদীছের ছাত্র থেকে
শুরু করে সাধারণ পাঠকও উপকার
পাবেন। উল্লেখ্য যে অধমের লিখিত
মুছত্বলাহুল হাদীছ ও হাদীছ মানতে
বাধ্য এই বই দুটি একটি বড় বইয়ের
ভূমিকা হিসেবে লিখলাম। এখন সেই
কাজে হাত দিব যার জন্য এত লম্বা
ভূমিকা। সকলের নিকট কায়মোনবাক্যে
দুয়া প্রার্থী। মহান আল্লাহ যেন তার
রাসূলের হাদীছের একজন খাদেম
হিসেবে অধমকে কবুল করেন। আমীন!