Ride the Storm: Navigating Through Unstable Periods / Katerina Rudko (Belka G...
Essay on online education
1. অতিমারি জীবনকে নতু নভাবে দেখতে শিখিয়েছে এবং জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রেই মানুষ
নিজেকে টিকিয়ে রাখার নতু ন নতু ন পথ উদ্ভাবন করতে সচেষ্ট হয়েছে। শিক্ষার ক্ষেত্রে
এরকমই ব্যাপকভাবে প্রচলিত হয়েছে অনলাইন শিক্ষা পদ্ধতি। ইউনেস্কো তার একটা
সমীক্ষায় বলেছিল যে, কোভিড অতিমারির সময়ে স্কুল কলেজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পৃথিবীর
১৩৮টা দেশের ১.৩৭ বিলিয়ন ছাত্র-ছাত্রী ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এই সংকটের সময়ে শিক্ষা
ব্যবস্থাকে চালু রাখার জন্যই প্রসার ঘটেছে অনলাইন শিক্ষা পদ্ধতির। এর অনেক ভালো দিক
এই মুহূর্তে প্রতিষ্ঠিত। এই শিক্ষা পদ্ধতিতে ভিডিও, পিডিএফ, পোডকাস্ট এরকম উপকরণের
সাহায্য নেওয়া যায়। যেগুলো পুরনো টেক্সটবুক নির্ভ র শিক্ষা ব্যবস্থার থেকে অনেক বেশি
আধুনিক। এবং জীবন্ত। দ্বিতীয়তঃ অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থায় ছাত্র-ছাত্রীরা যেকোন প্রান্ত থেকে
যেকোনো সময়ে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়, কারণ এই শিক্ষা পদ্ধতি কোন ভৌগোলিক সীমায়
আবদ্ধ নয়। এখানে শিক্ষকের পাঠদানকে রেকর্ড করার, আর্ক াইভ করার,এবং শেয়ার করার
সুযোগ আছে। কিন্তু এই সঙ্গেই এটাও ঠিক যে অনলাইন শিক্ষা পদ্ধতিতে শ্রেণী শিক্ষার যে
প্রাণময়তা তা অনুপস্থিত থাকে। দ্বিতীয়ত, প্রযুক্তিনির্ভ র হওয়ায় তা সকলের জন্য সবসময়
সুবিধাজনক নাও হতে পারে। কিন্তু কোভিডের সময় ভারত কিংবা চীনের মতো দেশগুলিতে
এই শিক্ষাপদ্ধতির ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। সমীক্ষায় এমনও দেখানো হয়েছে যে,
প্রথাগত শিক্ষার থেকে অনলাইন শিক্ষায় ৪০ থেকে ৬০% সময় কম লাগে। ইউরোপের ৪৮
টি দেশ এই অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থাকে ব্যবহার করেছে প্রাচীন শিখন পদ্ধতিকে বাতিল করার
জন্য নয়, আরো সাবলীল এবং গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য। আমাদের দেশেও অনলাইন
শিক্ষাপদ্ধতির প্রয়োগ যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালের ২৮ অক্টোবর ইউজিসির
চেয়ারম্যান মামিডালা জগদীশ কুমার টু ইট করেছিলেন যে, ২০২১-২২ সালে ভারতে
অনলাইন শিক্ষা ১৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা বুঝিয়ে দেয় যে এই শিক্ষা পদ্ধতি ক্লাসরুম
শিক্ষার বিকল্প না হলেও, সেই শিক্ষার পরিপূরক হয়ে উঠতে চলেছে অতি দ্রুত।